জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত চাইলেন নারী প্রার্থী, ভিডিও ভাইরাল


মোঃ দেলোয়ার হোসেন ,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত বাউফল-দশমিনা উপজেলা নারী সদস্য পদে হেরে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাইলেন প্রার্থী মোসা. রুবিনা আক্তার। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বাউফল পৌরএলাকার বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটলে, টাকা চাওয়ার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুহুর্তে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে,জেলা পরিষদ নির্বাচন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যাপক নিরাপত্তা দিয়ে ভোট গ্রহন চলে। ভোটে নারী সংরক্ষিত সদস্য পদে দোয়াত কলম প্রতীকে কামরুন নাহার, হরিণ প্রতীকে পশারী রানী, টেবিলঘড়ি প্রতীকে মিসেস ফাতেমা আলম ও ফুটবল প্রতিকে মো. রুবিনা আক্তার প্রতিদ্বন্দিতা করে। এর মধ্যে দোয়াত কলম প্রতীক কামরুন নাহার ১৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হলে নিকটতম প্রতিদন্ধী প্রার্থী হরিণ প্রতীকে পশারী রানী পায় ১২০ ভোট। অপর দিকে ফুটবল প্রতীকে রুবিনা আক্তার ৩৬ ভোট পেলেও আরেক প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মিসেস ফাতেমা আলম পেয়েছেন শুণ্য ভোট।
ভিডিওতে দেখা যায়, রুবিনা আক্তার বলেন, আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ভোটারদের ২হাজার করে টাকা দিয়েছি। তাঁরা টাকা নেওয়ার সময় আমাকে আশ্বাস দিয়েছিল আমাকে ভোট দিবে। কিন্ত তাঁরা অনেকেই আমাকে ভোট দেয়নি। যারা আমাকে ভোট দেয়নি তাঁরা অনেকেই আমাকে টাকা ফেরত দিয়েছে। তাঁরা বলেছে আপা আপনি মন খার্পা কইরেন না। আমি অনেক কান্না কাটি করেছি। কিন্তু  এই মেম্বার (ইউপি সদস্য) আমাকে টাকা ফেরত দিচ্ছে না। বরং অপমান করছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যদিও ওই মেম্বারকে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পরিষদ নির্বাচনে এক ভোটার জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আর এই প্রার্থী দিয়েছেন দুই হাজার টাকা! সে কি ভাবে ভোট পায়।
তবে এ বিষয়ে একাধিকবার রুবিনা আক্তারকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, নির্বাচনে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন অবৈধ। এ বিষয়ে যদি কেহ লিখিত অভিযোগ দেয়। তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।